শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৭ অপরাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক: মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে আরও ২৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৮৯৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে আরও ১১ হাজার ৪৬৩ জনের শরীরে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ১৫৮ জন।
সোমবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত এক দিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৪ হাজার ৪১২ জন। মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা ১২ লাখ ১৯ হাজার ৮৫৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৬ হাজার ৯৫৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৭ হাজার ২০৭টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ২৮ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮১ লাখ ৬৪ হাজার ৬১৭টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৭২ শতাংশ।
মারা যাওয়া ২৪৫ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ৮৩ জন। এছাড়া চট্টগ্রামে ৭১, রাজশাহীতে ১০, খুলনায় ২৫, বরিশালে ৬, সিলেটে ১৮, রংপুরে ১৯ এবং ময়মনসিংহে ১৩ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১২৮ জন পুরুষ এবং ১১৭ জন নারী। এদের মধ্যে ১১ জন বাসায় মারা গেছেন। বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ১৫ হাজার ২৩০ জন এবং নারী সাত হাজার ৬৬৭ জন।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে ৩, ৮১ থেকে ৯০ বছরের ১৭, ৭১ থেকে ৮০ বছরের ৩৫, ৬১ থেকে ৭০ বছরের ৮৪, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৫৫, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১৬, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ২০, ২১ থেকে ৩০ বছরের ১৩, ১১ থেকে ২০ বছরের দুজন মারা গেছেন।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চলতি বছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন শনাক্তের হারও ৫ শতাংশের নিচে নেমেছিল। তবে গত মার্চ মাস থেকে মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বাড়তে থাকে। জুলাই মাসে দৈনিক শনাক্তের হার ২৫ শতাংশের উপরে আছে। মোট গড় হার ১৪ শতাংশের উপরে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। সে হিসেবে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই বলা যায়। দেশে এখনও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। বিশেষজ্ঞরা তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করছেন।